Banner

freepik-garden-cutouts-style-leaderboard-banner-4102060-20250104083602-Hr-OE

প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র

প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো



২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো" একটি বাংলা কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক চলচ্চিত্র, যা পরিচালনা করেছেন সন্দীপ রায়। এটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট চরিত্র প্রোফেসর শঙ্কুর প্রথম চলচ্চিত্রায়ন। কাহিনীটি ১৯৮০ সালে প্রকাশিত "নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো" গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এবং প্রোফেসর শঙ্কুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

চলচ্চিত্রের কাহিনীর শুরু গিরিডিতে, যেখানে প্রোফেসর শঙ্কু তার আবিষ্কারগুলো নিয়ে সাও পাওলোতে এক প্রদর্শনীর প্রস্তাব পান। ঠিক সেই সময় তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন রহস্যময় নকুড়বাবু, যার ভবিষ্যৎদৃষ্টির ক্ষমতা আছে। তিনি শঙ্কুকে সতর্ক করে দেন এই সফরের ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে। এরপর শঙ্কু, নকুড়বাবু এবং তার দুই বন্ধু ক্রোল ও সন্ডার্সসহ যাত্রা করেন সাও পাওলো। সেখানে শঙ্কুর সাক্ষাৎ হয় ধনী ব্যবসায়ী সলোমন ব্লুমগার্টেনের সঙ্গে, যিনি শঙ্কুর আবিষ্কারের স্বত্ব কিনে নিতে চান। শঙ্কু রাজি না হওয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তার আবিষ্কারের ফর্মুলা চুরি করে নেওয়া হয়।

ছবিতে অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় (প্রোফেসর শঙ্কু), শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় (নকুড়বাবু), রিকার্দো দান্তাস (জেরেমি সন্ডার্স), এবং রনি ফাকিনি (উইলহেলম ক্রোল)। ছবির দৃশ্যধারণ হয়েছে ভারতের গিরিডি এবং ব্রাজিলের সাও পাওলো, মানাউস শহর ও আমাজনের গভীর জঙ্গলে। বিশেষ করে আমাজনের জঙ্গল ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ, যেখানে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতির সম্ভাবনা ও পরিবেশের জটিলতা ছিল। অভিনয়শিল্পীরা জানিয়েছেন, সেখানকার নদী, যেমন রিও নেগ্রো, কুমির ও পিরানহার বাসস্থান হওয়ায় তারা নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকতেন। দৃশ্যধারণে বিদেশি কলাকুশলীদের কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল ভিন্নধর্মী।

প্রচারপর্বে ছবির প্রথম মোশন পোস্টার মুক্তি পায় সত্যজিত রায়ের জন্মদিনে, ২ মে ২০১৯। পরবর্তীতে, ৪ অক্টোবর মূল পোস্টার ও ৭ নভেম্বর ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়। ইউটিউবে ট্রেইলারটি মুক্তির দুই মাসের মধ্যেই ৭ লক্ষের বেশি বার দেখা হয়।

আর্থিক দিক থেকে ছবিটি ১০০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে প্রথম দিনে ₹১২ লাখ এবং সপ্তাহান্তে ₹৬২ লাখ আয় করে। প্রথম সপ্তাহে মোট ₹২ কোটি টাকা আয় হয়, যার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা থেকেই আসে ₹১.৬ কোটি টাকা। ছবিটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই থেকে উল্লেখযোগ্য আয় করে।

চলচ্চিত্রটি একাধারে সত্যজিৎ রায়ের গল্পভিত্তিক নির্মাণ এবং কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র হিসেবে বাংলা সিনেমার জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। প্রযুক্তি, রোমাঞ্চ ও বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় ভরপুর এই ছবিটি দর্শকদের জন্য ছিল এক নতুন রকম অভিজ্ঞতা।

Professor shanku o el dorado.mp4 2019 by Samir Hossen Sarker.

কোন মন্তব্য নেই

A330Pilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.